Sunday, December 16, 2012

কী পরিমাণ ঘুম আমাদের জন্য যথেষ্ট?

কী পরিমাণ ঘুম আমাদের জন্য যথেষ্ট?

আমাদের শরীরের সকল কাজ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য নিয়মিত ও পরিমিত ঘুমের প্রয়োজন। পরিমিত ঘুম না হলে আমরা সকলেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। আসলেই আমাদের ঘুমের প্রয়োজন কেন? কি পরিমাণ ঘুম আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে অপরিহার্য? এসকল প্রশ্ন প্রায়ই আমাদের সকলের মনের মাঝে উঁকি দেয়। এসব নিয়েই আমাদের এ সপ্তাহের আলোচনাঃ
কি পরিমাণ ঘুম জরুরী আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে?
সাধারণভাবে দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে ঘুম থেকে উঠার পর মানসিক প্রফুল্লতা এবং কাজে কর্মতৎপরতা ফিরে পাওয়া যায় কিনা? অনেকেই আছেন যাদের দৈনিক মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট, আবার অনেকের প্রয়োজন ৯ ঘণ্টা। এটা আসলে নির্ভর করে ব্যক্তির অভ্যাস এবং প্রতিদিনের পরিশ্রমের উপর।
ঘুম কেন প্রয়োজন?
আসলে কেউই জানেনা ঘুমের প্রয়োজন কেন? সরলভাবে বলা যায় ঘুম আমাদের শরীর ও মনকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং মুক্তভাবে চিন্তার প্রসারতা বাড়ায়। গবেষণায় আরো প্রমাণিত হয়েছে রাতের ঘুম আমাদের স্মৃতি শক্তিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে, আমাদের মস্তিষ্ককে পরবর্তী দিনের কাজের জন্য প্রস্তুত করে এবং মস্তিষ্কের রাসায়নিক বস্তুগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু যোগাযোগের মাধ্যমে রাসায়নিক বস্তুগুলোর সঠিক মান বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ক্লান্তি এবং ঘুমের ভাবের মধ্যে পার্থক্য কি?
যদি কোন ব্যক্তি ১০০ বার লাফ দেয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করে তাহলে সে ব্যক্তি ক্লান্ত হয়ে পড়বে কিন্তু তার ঘুম আসবেনা। ঘুমের ভাব তখনই আসবে যখন তার ঘুমের ঘাটতি হবে। ক্লান্তি হল শারীরিক পরিশ্রান্তি আর ঘুমের ভাব হল পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবজনিত অবস্থা।
প্রতিদিন কি সবার একই পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন?
না, এটা এক একজনের ক্ষেত্রে এক একরকম। শুধুমাত্র “ঘুমের পরিমাণ”-ই নয়, “ঘুমের সময়”-ও এক একজনের ক্ষেত্রে এক একরকম। উদাহরণস্বরূপ অনেকেই রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন এবং প্রত্যুষে উঠতে পছন্দ করেন। আবার বংশগত কারণে অনেকেই রাতে দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকতে এবং সকালে দেরী করে উঠতে অভ্যস্ত। অনেকের দীর্ঘক্ষণ ঘুমের প্রয়োজন আবার অনেকের স্বল্প ঘুমই যথেষ্ট।
বয়সের সাথে সাথে কি ঘুমের পরিমান ভিন্ন হতে পারে?
বয়সের সাথে সাথে ঘুমের পরিমাণ সাধারনত বাড়েনা। যারা তরুণ, তারা মনে করে তাদের স্বল্প ঘুমই যথেষ্ট। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তা না। সবসময়ই তরুণদের জন্য নিয়মিত ও পরিমিত ঘুমের প্রয়োজন। যদি কারও ঘুমের প্রবণতা বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে তার ঘুমের ঘাটতি হয়েছিল। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, শুধুমাত্র “ঘুমের সময়” নয় বরং ঘুম কেমন হচ্ছে সেটাও বিবেচ্য বিষয়।
পরিমিত ঘুম না হলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে?
পরিমিত ঘুম না হলে প্রথমেই আমাদের স্মৃতি শক্তি ও মনোযোগ ব্যাহত হয়। এছাড়াও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, সবকিছুতে বিতৃষ্ণা আসে, কর্ম প্রেরণা হারিয়ে যায়। ইঁদুরের উপর গবেষণা করে প্রমাণিত হয়েছে যে ক্রমাগত ঘুমের অভাব হলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। ঘুম আমাদের ইমিউন সিস্টেম বা অনাক্রম্যতার সাথে বহুলাংশে জড়িত যা শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের শরীরের কিছু রাসায়নিক বস্তু, যেমন- নিউরোট্রান্সমিটার এর অনেক পরিবর্তন হয় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে। এছাড়াও ঘুমের সময় কিছু হরমোন, যেমন- গ্রোথ হরমোন বা বৃদ্ধিজনিত হরমোন, থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃ্ত হয় যা একই সাথে দৈহিক বৃ্দ্ধি এবং আমাদের মেটাবলিজমে সাহায্য করে। তাই ঘুমের অভাব হলে দৈহিক বৃদ্ধিও ব্যাহত হয় এবং আনুষঙ্গিক আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
কিভাবে ঘুম আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের উপর প্রভাব ফেলে?
পরিবারে যদি কারো ঘুমের সমস্যা থেকে থাকে তবে সেটা পুরো পরিবারের উপর প্রভাব ফেলে। ঘুমের অভাব হলে হতাশা বেড়ে যায়, কাজের প্রেরণা হারিয়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং ফলাফলস্বরূপ সবার সাথে দূরত্ব বেড়ে যায়। স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ কমে যায়, ফলে বাইরের কাজের ক্ষেত্রে অন্যের অসুবিধা হয়। আর এরকমভাবে চলতে থাকলে মেজাজের ভারসাম্য হারিয়ে যায় ফলে অনভিপ্রেত ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। জরিপে দেখা যায় যে পশ্চিমা দেশে অধিক হারে ডিভোর্স এর মূল কারণ হল এই ঘুমের সমস্যা। তাই প্রাত্যাহিক জীবনে ঘুমের গুরুত্ব ও প্রভাব অনেক।
যারা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে তাদের এই সমস্যার উদ্ভব হয়েছে বলে অধিকাংশ গবেষকের মতামত। ঘুমের সমস্যার জন্য চিকিৎসকের নিকট যাওয়া উচিত। এ নিয়ে লজ্জিত হবার কিছুই নেই, বরং যদি ঘুমের সমস্যার সঠিক কারণ নির্ণয় করা যায় তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই ঘুমকে অবহেলার সাথে দেখা উচিত নয়, বরং সঠিক, নিয়মিত ও পরিমিত ঘুমের জন্য আমাদের সকলেরই সচেতন থাকা উচিত।

ভয় কী? ভয়কে জয় করার উপায় কী? ভবিষ্যতের অহেতুক ভয় হয়। আমিও জানি, যা ভয় করছি তা হবে না কিন্তু এই ভয় আমার বর্তমানকে নষ্ট করছে। কী করবো?

ভয় কী? ভয়কে জয় করার উপায় কী? ভবিষ্যতের অহেতুক ভয় হয়। আমিও জানি, যা ভয় করছি তা হবে না কিন্তু এই ভয় আমার বর্তমানকে নষ্ট করছে। কী করবো?

নেতিবাচক চিন্তার জননী হচ্ছে ভয়। ভয় এক অদৃশ্য ভূত। অনেকের জীবনেই ভয় তাড়া করে বেড়ায় ছায়ার মতো। এই ভয়ই হচ্ছে আমাদের ব্রেনকে বেশি বেশি কাজে লাগানোর পথে সবচেয়েবড় অন্তরায়। ভয় যে কত ধরনের হতে পারে তার ইয়ত্তা নেই। রোগ ভয়, লোক ভয়, বার্ধক্যের ভয়, প্রিয়জন বিচ্ছেদের ভয়, নিরাপত্তার ভয়, ব্যর্থতার ভয়, দারিদ্রের ভয়, পোকা মাকড়ের ভয়, ভূতের ভয়, মৃত্যুভয় ইত্যাদি।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভয়ের অবস্থান হচ্ছে আমাদের সচেতন মনে। আপনি যদি এই ভয়গুলো কাগজে-কলমে লিপিবদ্ধ করে ফেলেন, তাহলে এগুলোকে যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারবেন। পারবেন এগুলোর উৎস খুঁজে বের করতে।একবার যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করতে পারলে এগুলোর আকৃতি হবে লিখিত অক্ষরের সমান। তখন আপনি এ ভয়গুলোর বিরুদ্ধে সহজে পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
আমরা যদি আমাদের সচেতনতার সমুদ্রের গভীরে এই ভয়গুলোকে বিচরণ করতে দেই তাহলে আমাদের অজান্তেই এগুলো লালিতপালিত হয়ে নাদুস-নুদুস হয়ে উঠবে। এগুলোর হাত থেকে আমরা কখনো রেহাই পাবো না। গভীর সমুদ্রে অনেক বিশাল বিশাল প্রাণী বাস করে। এগুলোকে যদি কোনোভাবে সমুদ্রের তীরে নিয়ে আসা যায়, তাহলেই এদের মৃত্যু ঘটে। ভয়কেও একইভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
ভয় কখনো গভীর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের আলো সহ্য করতে পারে না। ভয় হচ্ছে অন্ধকারের কীট। আলোয় এলেই তা মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। আমাদের জীবনের সবচেয়ে বেশি সমস্যার কারণ হচ্ছে অনির্দিষ্ট ভয়।
‘যদি এমন হয় তবে কি হবে’ এই আতঙ্কই আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তাই আপনার আশঙ্কাকেকাগজে স্পষ্ট করে লিখে ফেলুন। লেখার পর জিজ্ঞেস করুন, এরপর কী হবে? সবচেয়ে খারাপটাই লিখুন। কাগজে বড় করে লিখুন। যাতে করে আপনি দেখতে পারেন।
ভয়ের হাত থেকে বাঁচার সহজ পথ একটাই। তা হচ্ছে, ভয়ের কথা কাগজে লিখে তা পুড়িয়ে ফেলা।এভাবে আপনি পর্বতপ্রমাণ ভয়কেও নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেন। কারণ অজানা বিষয় যখনই জানা হয়ে যায়, তখনই ভয় তার রহস্য ও শক্তি দুই-ই হারিয়ে ফেলে।
যেমন, অন্ধকারে কাকতাড়ুয়া দেখেও আপনি ভূত ভেবে ভয় পেতে পারেন। কিন্তু একবার টর্চের আলো ফেলুন। ব্যস! সব শেষ। আপনি বুঝতে পারবেনআপনার ভয়ের উৎস সামান্য খড়কুটো, বাঁশ আর একটা হাড়ি ও একটা ছেঁড়া-ফাটা জামা মাত্র।
তাই ভয়কে মনের গহীনে বাস করতে দেবেন না, তাকে চোখের সামনে তুলে আনুন। কাগজে লিখে ফেলুন। অদৃশ্য দৈত্যকে দৃশ্যমান অক্ষরে পরিণত করুন। আর পুড়িয়ে ফেলুন অক্ষরগুলোকে।
ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া বা ভয়কে কাবু করার আরেকটা পথ হচ্ছে ভয়কে নিয়ে ঠাট্টা করা। ভয়কে জয় করার জন্যে অবজ্ঞা ও অবহেলার চেয়ে সফল অস্ত্র আর কী হতে পারে! আপনি ক্ষমতা না দিলে আপনার ওপর ভয়ের কোনো ক্ষমতা থাকতে পারে না।
যে কাজকে ভয় পান সাহস করে তা করে ফেলুন। ভয় সম্পর্কে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, কেউই ভয় থেকে মুক্ত নন। ভয় পান নি পৃথিবীতে এমন কোনোমানুষ নেই। তবে যারা সফল, যারা বীর তারা ভয়কে মোকাবেলা করেছেন, ভয়কে নিয়ে উপহাস করেছেন, ভয়কে অতিক্রম করেছেন। তারা কখনো ভয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেন নি।
আপনার জীবনেও অনেক পরিস্থিতি আসবে, যার মুখোমুখি হতে আপনি ভয় পান। হয়তো আপনি ইন্টারভিউ বোর্ডকে ভয় পান, নতুন লোকের সাথে আলাপ করতে ভয় পান, দাঁতের ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পান, ইনজেকশন নিতে ভয় পান, বিমানে চড়তে ভয় পান। ঠিক আছে। আপনার এ ভয় নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আপনি শুধু একে মোকাবেলা করুন। ভয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।
যে কাজকে ভয় পাচ্ছেন, সাহস করে কাজটা করে ফেলুন। বিশ্বাস করুন! আপনি সরাসরি ভয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ভয় পালাবার পথ পাবে না। আবার এমনও হতে পারে-আপনি যে কাজকে ভয় পাচ্ছেন সাহস করে করার পর সে কাজেই অপার আনন্দ লাভ করতে পারেন।
যেমন, আপনি বিমান ভ্রমণে ভয় পান। বিমানে কোনোদিন ওঠেন নি। সাহস করে উঠে পড়ুন বিমানে। যখন নিচের দিকে তাকাবেন, পৃথিবীকে যখন আকাশ থেকে দেখবেন তখনকার নতুন দৃষ্টি আপনাকে, আপনার উপলব্ধির ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করবে।
দাঁতের ডাক্তারের কাছে সাহস করে প্রথমেই চলে যান। হয়তো তিনি আপনার দাঁত ফেলে না দিয়েরেখে দেয়ার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হতে পারেন।সাহস করে ইন্টারভিউ বোর্ডের সম্মুখীন হোন। আপনার চাকরি বা পদোন্নতির দরজা খোলার এটাই তো পথ।
ব্যর্থতার ভয় আপনাকে পেয়ে বসেছে! এটা আপনাকে কাটাতে হবে। তা না হলে আপনি কাজ শুরুকরতে পারবেন না। সাধারণত দেখা গেছে, ব্যর্থ লোকরাই ব্যর্থতাকে ভয় পায়। কারণ তারা শুরু করতেই সাহস পায় না। আপনি সফল হবেন না বলে বিশ্বাস করলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন না। আর কাজ শুরু না করা এক গুরুতর অপরাধ। মনকে বলুন, সাফল্যের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, ব্যর্থতা অতিক্রমের মাধ্যমেই আসে সাফল্য।
কাজ শুরু করুন। লক্ষ্য উঁচু রাখুন। কথায় বলে, সূর্যের দিকে তীর মারলে তা অন্তত বড় গাছের মগডালে গিয়ে লাগবে। তাছাড়া ব্যর্থতার চিন্তাকেও আপনি ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, একটি উদ্যোগে যদি আশাব্যঞ্জক ফল না পাওয়া যায় তাহলে এর বিকল্প কী পদক্ষেপ নেয়া যায় আগে থেকেই তা ঠিক করে রাখুন। তখন ভয় আপনার সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
ভয়কে জয় করার আরেকটি বড় অস্ত্র হচ্ছে ভান করা। ভান করুন, এমনভাবে অভিনয় করুন, যেন আপনার জীবনে ভয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট অকপটে স্বীকার করেছেন-‘আমার জীবনে বহু কিছু ছিলো যা নিয়ে আমি প্রথমে ভয় পেতাম। কিন্তু সে কাজগুলো করতে গিয়ে আমি সবসময়ই ভান করতাম যে, আমি আদৌ ভীত নই। ভান করতে করতেই আমার ভয় কমে যেতে লাগলো। আমার এখন কোনো কিছু নিয়েই ভয় নেই। ইচ্ছে করলে বেশিরভাগ মানুষের জীবনেই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে’।প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের জীবনে যেটা সত্যি আপনার জীবনেও তা সত্যি হতে পারে। ভয়কে জয় করার জন্যে আপনি একই পন্থা অবলম্বন করুন। জোর করে ভান করুন যে, আপনি ভয় পান নি। আপনি বোঝার আগেই দেখবেন যে, ভানটাই সত্যে পরিণত হয়েছে।
আসলে আমাদের অধিকাংশের জীবনে ভয় হচ্ছে ভবিষ্যতের কাল্পনিক বিপদ নিয়ে। ভবিষ্যতে কী বিপদ হতে পারে, কী ঝামেলা হতে পারে ইত্যাদি। ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা নিয়ে আপনি আপনার বর্তমানের সুন্দর সময়গুলোকে নষ্ট করছেন। আপনি আগামীকালকে যত বেশি ভয় পাবেন, ততই আপনি আজকের দিনটিকে কাজেলাগাতে ও উপভোগ করতে ব্যর্থ হবেন। বর্তমানকে পুরোপুরি কাজে লাগান, বর্তমান নিয়ে আপনি ব্যস্ত থাকুন, ভবিষ্যৎ নিজেই নিজের যত্ন নেবে। জীবনকে, জীবনের গতিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বর্তমানকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগান, উপভোগ করুন। কারণ আপনার জীবনে বর্তমান আর দ্বিতীয়বার ফিরে আসবে না।

Friday, January 20, 2012

Improve your reading skills in GRE and TOEFL

GRE তে সবচে কঠিন কোন জিনিসটা মনে হয় আপনার? এর উত্তরে মনে হয় ভার্বাল সেকশনের কথা-ই বলবে সবাই। আরো একটু যদি স্পেসিফিক করি, ভার্বাল সেকশনের কোন জিনিসটা সবচে কঠিন? তাহলে নির্ঘাৎ Reading Comprehension এর নাম-ই উঠে আসবে। TOEFL-এও অনেকেরই চিন্তা Reading section টা নিয়ে...... এই নোটটা mainly prospective GRE-taker দের জন্যে হলেও TOEFL test preparation-এ কাজে দেবে, আশা করি।

  • যারা ভবিষ্যতে GRE শুরু করবেন

GRE Reading Passage গুলোর মধ্যে কিছু কিছু বেশ লম্বা হয়। ঠিকমত বোঝার জন্য বারবার সেগুলো পড়তে গেলে সময়ের অপচয় হবে। একবার পড়েই যাতে মূল থিম ধরতে পারা যায়, তাই আপনার রিডিং প্র্যাকটিস থাকাটা খুব জরুরী। যেহেতু আপনি এখনো GRE এর পড়াশোনা আরম্ভ করেননি, তাই আপনার হাতে বেশ সময় আছে। এই সময়টাতে নিজেকে গড়ে তুলুন, যাতে ভবিষ্যতে GRE preparation এর রাস্তাটা মসৃণ হয়। বেশ কিছু বই এর নাম নেয়া যায়, যেগুলো পড়লে আপনার রিডিং এর মেইন থিমগুলো আয়ত্তে এসে যাবে......

  1. সাত খণ্ডের Harry Potter. শুরু করার জন্য এই বইগুলো খুব ভালো। প্রথম কিছু খণ্ড বেশ সহজ ভাষায় লেখা, আস্তে আস্তে একটু কঠিন হয়, কিন্তু nothing to be afraid of. ইংরেজিতে গল্প বই পড়ার প্রতি যাদের এলার্জি আছে, তাদের জন্য highly recommended.
  2. এর পরেই শুরু করতে পারেন সিডনী শেলডনের বই। সহজ ভাষা, মাঝে মাঝে হাল্কার ওপর ঝাপসা GRE words, চামে দিয়ে শেখা হয়ে যাবে
  3. Charles Dickens আর J.R.R.Tolkien এর বইগুলো অবশ্য পাঠ্য। অনেক অনেক GRE vocabulary, আর তার সাথে Standard English Language Structure.

  • যারা GRE প্রস্তুতির প্রথম দিকে আছেন

মনে করুন, আপনার হাতে ৪ মাসের মত সময় আছে। এখন আপনি word list থেকে অনেক অচেনা শব্দ শিখছেন, Reading Comprehension solve করার চেষ্টা করছেন। এই সময়টাতে অচেনা শব্দগুলোর একটা image মনের মধ্যে গেঁথে নেয়াটা খুব জরুরী। একটা শব্দ কিভাবে একটা প্যাসেজের মধ্যে ব্যবহৃত হয়, বাক্যের একটা নির্দিষ্ট স্থানে একটা শব্দ কি বোঝাতে চায়, সেটা বুঝে বুঝে পড়া জরুরী।

মনে রাখবেন, শুধুমাত্র শব্দের অর্থ শিখলেই GRE Reading এর মাস্টার হওয়া যাবেনা, সময়ের ব্যবহার এর কথাও মাথায় রাখতে হবে। You'll have limited (very short actually) time to solve those. এই অবস্থায় চেষ্টা করুন প্রতিদিনের Daily Star এর Editorial পড়ার। Editorial এর ইস্যুগুলো সাধারণত আপনার সমসাময়িক ঘটনাগুলো নিয়েই হয়ে থাকে, তাই সেটা পড়লে কোন লাইনটা exactly কি বোঝাচ্ছে, আপনি ধরতে পারবেন সহজেই.........

প্র্যাকটিসের কোন বিকল্প নাই, নিচের বইগুলোতে GRE Reading এর জন্য অনেক প্র্যাকটিস পাবেন-

1. Princeton Verbal Workbook

2. Official Guide for Revised GRE

3. Revised Big Book (forthcoming, not in the market yet)

এই লিংক থেকে নামাতে পারেন ম্যানহাটনের RC, http://www.mediafire.com/?44a1idji822ku78##miscellaneous

GRE এর অনেকগুলো বইয়ের সফট কপি পাবেন GRE Center এর ওয়েবসাইটে, http://www.grecenter.org/main.php?id=download

  • Exam Hall এ আপনার করণীয়

এই সময়টা সবচে বেশি important. প্রতিটা মুহূর্ত মূল্যবান এখানে। Time এর effective allocation সবচে জরুরী। Revised GRE তে question skip করে পরে ফিরে আসার করার সুবিধা আছে। তাই সবচে বেস্ট হয়, যদি আপনি অন্যান্য (Text Completion এবং Sentence Equivalence) প্রশ্নের উত্তর দ্রুত শেষ করে তারপর Reading Comprehension করতে আসেন।

1. প্রথমে প্রশ্ন পড়বেন, তারপর উত্তর খুঁজতে যাবেন প্যাসেজের মধ্যে। নইলে দেখা যাবে, পুরো প্যাসেজটা পড়লেন, তারপর question attempt করতে গিয়ে দেখা গেল আবার প্রথম থেকে প্যাসেজ পড়তে হচ্ছে। This is so time-consuming.

2. প্যাসেজের যে লাইন আপনি একবার পড়ে কিছুই বোঝেননি, সেটা বারবার পড়তে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। পড়ে যেতে থাকুন, হয়তোবা পরবর্তী লাইনগুলো পড়লে ঐ লাইনটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে; অধিকাংশ সময় সেটাই হয়।

3. GRE passage গুলোতে প্রায়ই লম্বা লম্বা লাইন থাকে। লক্ষ্য করুন, যেসব বাক্যে কমা দিয়ে আলাদা করা ৩টি অংশ থাকে, সেগুলোতে মাঝখানের অংশটি প্রথম অংশকে বিশেষায়িত করে এবং অনেক সময় প্রথম ও তৃতীয় অংশ পড়েই উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়। দ্বিতীয় অংশটিকে বাদ দিয়ে পড়লেও বাক্যটি grammatically correct থাকে। যেমন-

Probably the most striking evidence of the enduring strength of individualism, and just how deeply this view of society has permeated all fields and forms of the contemporary arts, is the celebrity culture that surrounds.

এবার যদি প্রশ্ন আসে, According to the writer, What is the clearest evidence of the continuing importance of individualism in society?

উত্তর হবে, CELEBRITY CULTURE. মাঝের অংশটা বাদ দিলে লাইনটা দাঁড়ায়, Probably the most striking evidence of the enduring strength of individualism is the celebrity culture that surrounds. ব্যাপারটা সহজ হয়ে যায়, টাইম কম লাগে।

4. Connecting words গুলোর দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন। এক লাইন থেকে আরেক লাইনে যেতে সময় however, nonetheless, nevertheless ব্যবহার করা মানেই এতক্ষণ যা যা বলা হলো, তার বিপরীত মত সামনে আসছে।

Reading Comprehension এর ট্যাকটিক্স নিয়ে SK Awal Russell এর লেখা একটা ডকু আছে, পড়তে পারেন এই লিংকে, http://www.scribd.com/doc/76809215/Reading-Comprehension